Thursday, December 5, 2019

কালুরঘাট সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি ভোট পর্যন্ত!

ভোট আসে ভোট যায়,তবুও নির্মাণ হয়না কালুরঘাট সেতু। 
আশ্বাসে আশ্বাসে দিনপার করে অত্র এলাকার জনপ্রতিনিধিরা।দীর্ঘদিনে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার একাংশের প্রাণের দাবি থাকলেও,এই সেতু নিয়ে জল্পনা কল্পনা কেবল ভোট পর্যন্ত।অথচ অত্র এলাকার মানুষের তীব্র ক্ষোভ যে,চট্টগ্রামে এতকিছু হচ্ছে,কেন দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি নিয়ে বাস্তবায়ন কিছুই হচ্ছে না?
তারা মনে করেন দেশ স্বাধীন হবার পূর্ব পর্যন্ত এ সেতুর ভূমিকা ছিল অপরীসীম।বৃটিশ আমলে নির্মিত এ সেতু ২০১১ সালের পূর্বে কয়েক যুগ দক্ষিণ চট্টলার সাথে সারাদেশের যোগাযোগের প্রধান সেতু বলা হত।এটা ছিল দক্ষিণ চট্টলার প্রবেশদ্বার।এ সেতু হতে সরকার বছরে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করলেও,অত্র এলাকার উন্নয়নে কোন সেতুই হয়নি।এটা অত্র এলাকার জন্য তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করে।বর্তমানে সেতুটি অযত্নে-অবহেলায় রয়েছে।২০০১ সালে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে এই সেতুটি।তবে বিভিন্ন টিভি ও নিউজপেপারে এই সেতুটিকে মূলত ভোটের হিসাব-নিকাশের জন্য এভাবে ফেলে রাখা হয়েছে বলে দাবি করা হয়।মূলত এই দাবি জনগণই বারবার করে আসছে।সরকারের অনেক উচ্চপদস্থ মন্ত্রী এমনকি প্রধানমন্ত্রীও অত্র এলাকায় নতুন একটি সেতু করার ঘোষণা করলেও,কার্যত এখনো কালুরঘাট অঞ্চলে নতুন সেতু নিমার্ণ নিয়ে ধোয়াশায় রয়ে গেছে।অনেকের স্বপ্ন যে তাদের মৃত্যুর আগে নতুন সেতু দেখা।প্রয়াত এমপির শেষ ইচ্ছাও ছিল,এখানে নতুন সেতুর কাজ দেখে যাওয়া।বর্তমানে প্রয়াত এমপি মঈনুদ্দিন খান বাদলের আসনে বিভিন্ন দলের অনেক প্রার্থী তোড়জোড় শুরু করেছে।তাদের মুখেও এই সেতু নিয়ে নির্বাচনে প্রার্থী হবার কথা জনসম্মুখে ব্যক্ত করছে।দেখা যাক এবারের উপ-নির্বাচনের নতুন এমপির মধ্য দিয়ে অত্র এলাকার ভাগ্যে নতুন কি আসতে যাচ্ছে।নাকি অযত্নে-অবহেলায়,ঝুঁকি নিয়ে আরো কত বছর আক্ষেপের মধ্য দিয়ে চলতে হবে।
                   

No comments:

Post a Comment

তেল মর্দনে আমরা

সব কিছুতে আজকাল তৈল মর্দন।বাংলা সাহিত্য পড়লে কবি কিংবা লেখক পরিচিত দেখলে বুঝবেন বেশিরভাগ লেখকই বিভিন্ন পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন।এখন পত্রিকা পা...