বোয়ালখালী জৈষ্ঠ্যপুরা ভান্ডালজুড়িতে পানি শোধনাগারের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।
দক্ষিণ চট্টগ্রামের বোয়ালখালী,পটিয়া এবং আনোয়ারা উপজেলায় শিল্পবিকাশের পাশাপাশি পরিকল্পিত আবাসিক গড়ে তোলার লক্ষ্যে পানি সরবরাহের বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছে চট্টগ্রাম ওয়াসা।এরই অংশ হিসেবে ১২শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে বোয়ালখালীর ভান্ডালজুড়ি এলাকায় নতুন একটি পানি প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। প্রতিদিন কর্ণফুলী নদী থেকে উত্তোলিত ৬ কোটি লিটার পানিশোধনের মাধ্যমে সরবরাহ করা হবে এ অঞ্চলে। গত দু’বছর আগে প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন হওয়ার পর এখন পুরোদমে কাজ শুরু হয়েছে ।
চট্টগ্রাম ওয়াসা সূত্রে জানা যায়, রাঙ্গুনিয়ার পোমরা এলাকায় বাস্তবায়িত ‘শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার প্রকল্প’ থেকে দৈনিক ১৪ কোটি লিটার পানি পাইপলাইন যুক্ত হওয়ার পরই পানীয় জলের হাহাকার দূর হতে শুরু করে। এরপর যুক্ত হয়েছে মদুনাঘাট প্রকল্পের ৯ কোটি লিটার পানি। এই দুই প্রকল্প চালু হওয়ার পর বর্তমানে ওয়াসার দৈনিক পানি শোধন ক্ষমতা প্রায় ৩৬ কোটি লিটার, যা দিয়ে পানির চাহিদার অনেকটাই পূরণ করা সম্ভব। সক্ষমতা বাড়াতে বোয়ালখালীর ভান্ডালজুরি এলাকায় নেয়া হয়েছে আরও একটি বড় প্রকল্প। প্রায় ১২শ’ কোটি টাকার এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে ওয়াসা দৃষ্টি নিতে চায় কর্ণফুলীর দক্ষিণ পাড়ের তিন উপজেলায়। বোয়ালখালীর ভান্ডালজুড়িতে ১২শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে যে প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে তার দৈনিক পানি শোধন ক্ষমতা হবে ৬ কোটি লিটার। এ প্রকল্পের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার ঋণ সহায়তায় এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে।
চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম ফজলুল্লাহ বলেন, চট্টগ্রামের ব্যাপারে সরকারও ইতিবাচক। দূরদৃষ্টি নিয়েই প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। এ প্রকল্প নিয়ে আমরা আশাবাদী। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে দক্ষিণ চট্টগ্রামের গড়ে উঠা শিল্প কারখানার পাশাপাশি এলাকাবাসীও অনেক উপকৃত হবে। বর্তমানে পানির যে উৎপাদন, তা দিয়ে নগরীর প্রায় ৯৫ ভাগ চাহিদা মেটানো সম্ভব। ২০২১ সাল নাগাদ পুরো নগরীতে ২৪ ঘণ্টা পানি দেয়া যাবে। ততদিনে শহরাঞ্চলের চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত পানি থাকবে।
(কক্স_নিউজ)
No comments:
Post a Comment